রিপোর্টার: হাসান রেজা
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ে নতুন করে আলোচনার দরজা খুলেছে একটি ঐতিহাসিক সত্য—নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শাহাদাত। এ বিষয়ে অনেক দিন ধরে শিয়া মতবাদের অবস্থান সুপরিচিত হলেও, সুন্নি মতের বহু নির্ভরযোগ্য গ্রন্থেও নবীজির (সা.) শাহাদাতের প্রসঙ্গ অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে একটি প্রসিদ্ধ বর্ণনা বিশ্বস্ত সূত্রসহ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রহ.) থেকে এসেছে, যেখানে তিনি বলেন:
"আমি যদি নয়বার কসম খাই যে, রাসূল (সা.)-এর শাহাদাত হয়েছে, তা আমার কাছে একবার কসম খাওয়ার চেয়ে প্রিয় হবে যে, তিনি নিহত হননি।"
এরই সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন:
"و ذلک بان الله جعله نبیا واتخذه شهیدا"
অর্থাৎ, আল্লাহ তাঁকে নবী করেছেন এবং শহীদ হিসেবেও গ্রহণ করেছেন।
এই বক্তব্য শুধু আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের মতেই সীমাবদ্ধ নয়। সুন্নি হাদিসগ্রন্থ আবদুর রজ্জাকের ‘মুসান্নাফ’-সহ আরও বহু প্রখ্যাত কিতাবেও এই প্রসঙ্গ সনদসহ বর্ণিত হয়েছে।
ইতিহাস ও হাদিস বিশারদদের মতে, আল্লাহ তাআলা যখন রাসূল (সা.)-কে নিজের সান্নিধ্যে তুলে নেন, তখন তিনি শাহাদাতের অবস্থাতেই ইন্তেকাল করেন।
এই আলোচনা একটি বড় বার্তা বহন করে—নবীজির (সা.) ইন্তেকাল শুধুই শারীরিক মৃত্যু ছিল না, বরং তা ছিল শহীদদের মর্যাদা সম্পন্ন এক মহিমান্বিত বিদায়।
উপসংহার:
এই ঐতিহাসিক ও হাদিসভিত্তিক তথ্য আমাদের সামনে নতুন চিন্তার দরজা খুলে দেয়। এটি শুধুমাত্র মতবাদগত সংবেদনশীলতা নয়, বরং নবীর (সা.) মর্যাদা ও তাঁর জীবনের শেষ অধ্যায় সম্পর্কে গভীর উপলব্ধির আহ্বান। শিয়া ও সুন্নি উভয় ঘরানার সম্মিলিত ঐতিহাসিক সূত্র প্রমাণ করে, নবী করিম (সা.)-এর শাহাদাত একটি প্রমাণিত সত্য যা আজও গবেষণা ও চিন্তার উপযুক্ত বিষয়।
আপনার কমেন্ট